
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, শিক্ষাকে যেভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল আজ পর্যন্ত কোনো সরকারই সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি। শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান বৈষম্য দূর করতে হলে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় নন-এমপিওভুক্ত ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠককালে সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শিক্ষা বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া, জাতীয় নাগরিক পার্টির শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উমর ফারুক, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক কোরবান আলী প্রমুখ।
নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অবিলম্বে এমপিওভুক্ত করার দাবি জানিয়ে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, তারাও দেশে শিক্ষাবিস্তারের মহান পেশায় নিয়োজিত। তারাও দেশকে মূর্খতার অন্ধকার থেকে মুক্ত করে দেশকে আলোকিত করার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কাজেই মানুষ গড়ার করিগর নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করার ন্যায্য দাবি সরকারের অবিলম্বে মেনে নেওয়া উচিত।
শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করে গোটা বাজেটের ৬ শতাংশ করা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, নন-এমপিওভুক্ত ঐক্য পরিষদের দাবি মেনে নিয়ে তাদের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার জন্য তিনি প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান।
মতবিনিময়সভায় নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে একযোগে এমপিওভুক্ত করার লক্ষ্যে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর শিক্ষাবিষয়ক সম্পদকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানো এবং প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের মাধ্যমে বিরাজমান সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানানো হয়।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আরো বলেন, নন-এমপিওভুক্ত ঐক্য পরিষদের শিক্ষকদের ন্যায়সংগত দাবিগুলো সরকার যাতে মেনে নেয় সে ব্যাপারে যথাযথ ভূমিকা পালন করার জন্য তিনি সব রাজনৈতিক দলর প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দুনিয়ার জীবনের সুখ-শান্তির জন্য আমরা সব কিছুই করছি। কিন্তু আখিরাতে মুক্তির জন্য আমরা তেমন কিছুই করছি না।
আমরা যাতে দুনিয়া ও আখিরাতে সুখ-শান্তিতে থাকতে পারি সেজন্য ইসলামী শিক্ষার প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আল্লাহর বিধান মতো জীবন পরিচালনার জন্য যে শিক্ষা দরকার, সে শিক্ষার দিকে মনোযোগ দেওয়ার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।